ট্রলারে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে আটক মোট ৮৫ নারী-পুরুষকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 19 Nov 2014, 07:39 PM
বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আহমদ সাঈদের আদালতে তাদের হাজির করা হলে তিনি এ আদেশ দেন।
এই ৮৫ জনের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৬৬ জন পুরুষ। এদের মধ্যে তিন পুরুষ ছাড়া বাকি সবাই মিয়ানমারের নাগরিক।
চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানব পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার আসামি ১৯ জন নারীর সঙ্গে ১২ শিশুও রয়েছে। তবে শিশুরা আসামি না হলেও অভিভাবকের সঙ্গে তারাও কারাগারে থাকবে।
সোমবার সকালে সেন্টমার্টিন থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ও বাংলাদেশ সমুদ্রের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের দক্ষিণ অংশের স্থলভাগ থেকে প্রায় ২৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা মিয়ানমারের পতাকাবাহী একটি ট্রলার আটক করে নৌবাহিনী।
ট্রলারটি থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মোট ৬২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘দুর্জয়’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বৈদেশিক নাগরিক সম্পর্কিত আইন ১৯৪৬ এর (১৪) ধারা অনুযায়ী মিয়ানমারের ৮২ জন নারী ও পুরুষকে আসামি করা হয়।
এছাড়া মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০০২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় বাংলাদেশি তিন নাগরিকসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ মিয়ানমারের নাগরিক অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলাটিরও আসামি। এ হিসেবে দুই মামলায় মোট আসামি ৮৫ জন।