নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার মোনায়েম হোসেন মনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
Published : 12 Nov 2014, 04:45 PM
এই ব্যক্তিকে ভারতে গ্রেপ্তার জেএমবি কমান্ডার শেখ রহমাতুল্লাহ ওরফে সাজিদের ভাই হিসেবে সোমবার রাতে আটক করা হলেও এলাকাবাসী তার ভাইয়ের নাম জানে মাসুম মিয়া।
ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি মনাকে গ্রেপ্তার করলেও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনেনি র্যাব। র্যাব-১১ এর কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ৫৪ ধারায় আটকের মামলা দিয়ে বুধবার ভোরে মনাকে বন্দর থানায় সোপর্দ করে।
এরপর মনাকে জিজ্ঞাসাবারে জন্য সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে তোলে পুলিশ। শুনানি শেষে হাকিম কে এম মহিউদ্দিন দুদিন রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
বন্দর থানার ওসি নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মনার জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না কিংবা ভারতে গ্রেপ্তার কথিত ভাইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার সাজিদ নারায়ণগঞ্জের মনার ভাই বলে সন্দেহ করলেও সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নন বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বুধবারও বলেছেন।
“আমরা ধারণা করছি, ভারতে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার সাজিদই নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ফরাজীকান্দা এলাকার মাসুম। আর মনোয়ার ওরফে মনাই তার ভাই। সাজিদ সম্পর্কে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্যও পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বেও সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।”
এদিকে বন্দর থানায় মনা সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি ওয়ার্কশপে কাজ করে খাই। আমার ছোট ভাই মাসুমের সঙ্গেও গত ১০ বছর যাবত কোনো যোগাযোগ নেই।”
তিনি জানান, তাকে র্যাব মাসুমের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে ভারতে গ্রেপ্তার সাজিদের কোনো ছবি অথবা ভিডিও দেখায়নি।
বর্ধমানে সন্দেহজনক একটি বাড়িতে গত ২ অক্টোবর বিস্ফোরণের পর ভারতের গোয়েন্দারা এতে সাজিদের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে বলে, এই ব্যক্তি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের ফরাজীকান্দার বাসিন্দা এবং জেএমবির নেতা।