শেরপুরের নালিতাবাড়ির সেই সোহাগপুর বিধবাপল্লীর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
Published : 08 Nov 2014, 01:04 PM
উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে শুক্রবার এ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, সোহাগপুরের বিধবা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য বিধবাপল্লী সংলগ্ন কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে এই অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
এ সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যার দায়ে মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহে আল-বদর কমান্ডার মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বিধবাপল্লীর বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, আপিলের রায়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকার পর বিধবা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও হুমকির কারণে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর এবং কামারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কাদের ডাক্তার এবং তার সহযোগী ও ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া এরশাদ আলী প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাদের অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের দোসর কাদেরের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা তাদের হুমকি দিয়ে আসছে। বিধবাদের এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি ছাড়াও সরকার পরিবর্তন হলে তাদের কড়া মাসুল দিতে হবে এবং এলাকা থেকে বিতাড়িত করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকার পর বিধবা, সাক্ষী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এমন খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পর অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পর সাক্ষী ,বিধবা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা কমেছে বলে সোহাগপুর শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সোহাগপুরে একসঙ্গে ১২০ জনকে হত্যার পর ওই গ্রামের বহু নারীকে অকালে বৈধব্য নিতে হয়েছিল, এই কারণে ওই গ্রামটি বিধবাপল্লী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।