গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জনি (২১), আরিফ (২০) ও সোহেল রানা (২২)। তিনজনই নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার চট্টলা বেকারির পাশের একটি বাসা থেকে অপহৃত যুবক আতিকুর রহমানকে (২০) উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
“অপহরণের তিনদিন পরে এক যুবক আতিকের ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে বিকাশ’র মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়। টাকা দেয়া না হলে আতিকের কিডনি বিক্রির হুমকি দেয় তারা। ঘটনাটি পুলিশকে জানায় তার পরিবার।”
ইপিজেড থানার এসআই এম শাকের আহমেদ জানান, পুলিশ প্রথমদফায় অপহরণকারীদের দেয়া মোবাইলে আট হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠায়। পরবর্তীতে বুধবার রাতে একইভাবে ছয় হাজার টাকা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, “অপহরণকারী জনি ফোন-ফ্যাক্সের দোকানে টাকা আনতে গেলে ওত পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
“তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার চট্টলা বেকারির পাশে একটি ঘর থেকে বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত আতিককে উদ্ধার করে পুলিশ।”
অপহরকারীদের মুক্তিপণ হিসেবে দেয়া চৌদ্দ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এসআই শাকের জানান।
অপহৃত আতিকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবকের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল বলে তারা পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
এসআই শাকের বলেন, “গ্রেপ্তাররা বলেছে, তাদের টাকা প্রয়োজন হওয়ায় চাকরির প্রলোভন দিয়ে আতিককে অপহরণ করেছিল।”