মুক্তিপণের দ্বিতীয় কিস্তি নিতে এসে শ্রীঘরে

অপহরণের পর ‘বিকাশ’র মাধ্যমে মুক্তিপণের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা নিতে এসে চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তিন অপহরণকারী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 03:46 PM
Updated : 23 Oct 2014, 03:46 PM

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জনি (২১), আরিফ (২০) ও সোহেল রানা (২২)। তিনজনই নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার চট্টলা বেকারির পাশের একটি বাসা থেকে অপহৃত যুবক আতিকুর রহমানকে (২০) উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

ইপিজেড থানার ওসি আবুর মনছুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত শনিবার রাতে নগরীর ইপিজেড থানার নারিকেল তলা এলাকা থেকে অপহৃত হন নেত্রকোণা জেলার মদন থানার বাসিন্দা ছেনু মিয়ার পুত্র আতিক।

“অপহরণের তিনদিন পরে এক যুবক আতিকের ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে বিকাশ’র মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়। টাকা দেয়া না হলে আতিকের কিডনি বিক্রির হুমকি দেয় তারা। ঘটনাটি পুলিশকে জানায় তার পরিবার।”

ইপিজেড থানার এসআই এম শাকের আহমেদ জানান, পুলিশ প্রথমদফায় অপহরণকারীদের দেয়া মোবাইলে আট হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠায়। পরবর্তীতে বুধবার রাতে একইভাবে ছয় হাজার টাকা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, “অপহরণকারী জনি ফোন-ফ্যাক্সের দোকানে টাকা আনতে গেলে ওত পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

“তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার চট্টলা বেকারির পাশে একটি ঘর থেকে বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত আতিককে উদ্ধার করে পুলিশ।”

অপহরকারীদের মুক্তিপণ হিসেবে দেয়া চৌদ্দ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এসআই শাকের জানান।   

অপহৃত আতিকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবকের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল বলে তারা পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

এসআই শাকের বলেন, “গ্রেপ্তাররা বলেছে, তাদের টাকা প্রয়োজন হওয়ায় চাকরির প্রলোভন দিয়ে আতিককে অপহরণ করেছিল।”