প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি সরদার আল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএডিসি এলাকায় ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই দল যুবক এ হামলা চালায়।
আহতরা হলেন-মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ফাইজার চৌধুরী, দি নিউ নেশন পত্রিকার মিজানুল হক মিজান, বৈশাখী টিভির মরিয়ম শেলী ও জনকণ্ঠের রাজিব হাসান। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই যুবকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকাল থেকেই উত্তেজনা চলছিল।
এর জেরে বেলা ১২টার দিকে দুই পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরে বের হয়। তারা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব অতিক্রমের সময় কয়েকজন সাংবাদিক প্রেসক্লাবের হলরুম থেকে রাস্তায় বের হন।
সংবাদ সংগ্রহে তারা ছবি তুলছে এই সন্দেহে অস্ত্রধারীরা হঠাৎ করেই প্রেসক্লাবে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। এ সময় প্রেসক্লাবের সামনে থাকা পাঁচটি মোটরসাইকেলেও ভাংচুর চালায় এবং ওই চার সাংবাদিককে পেটায়।
খবর পেয়ে প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
তবে, হামলাকারীরা যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক খুসতার জামিল বলেন, “যারা ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত তারা উচ্ছৃংখল বখাটে যুবক। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।”
এবিষয়ে পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান বলেন, “জড়িত যারাই হোক রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হবে।”