নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের আন্দোলনরত চারজন শেয়ার হোল্ডারের বসতঘরে অঅগুন দিয়ে ঘুমন্তদের হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
Published : 21 Oct 2014, 10:17 PM
রোমবার গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ডে মিলের ভেতরে শেয়ার হোল্ডারদের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ঘুমন্তরা।
আন্দোলনরত শেয়ার হোল্ডারদের দাবি, মিলটি দখলের চেষ্টাকারী ভূমিদস্যু জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই মনির হোসেন মনা ও তার বাহিনী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
আগুনে পুড়ে গেছে শেয়ারহোল্ডার স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুর রশিদ, নিরঞ্জন দাস ও সুশীল বাড়ৈ এর ঘর।
আন্দোলনরত শেয়ারহোল্ডাররা জানান, রাতে হামলার আশঙ্কায় তারা পালা করে মিলের ভেতরে পাহারা দেন। সোমবার গভীর রাতে সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ হোসেনের বসতঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতরে আগুন জ্বলছে। পরে তারা আটকেপড়াদের বের করে আনেন।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও মিল দখলের চেষ্টাকারীরা মূল ফটক খোলা নিয়েও কালক্ষেপণ করে।
শেষপর্যন্ত আধাঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মোমতাজ হোসেন জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপন করা হয়নি। তবে কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে জানা যাবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগিয়েছে কিনা তা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
অভিযুক্ত মনির হোসেন মনা জানান, তাদেরকে ফাঁসানোর জন্যই শেয়ারহোল্ডাররা নিজেদের ঘরে আগুন লাগিয়েছে। তারা যদি আগুন লাগাতেন তাহলে সবার ঘরেই লাগাতেন। দু’একটি ঘরে নয়।
আগুন লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিট কনর্সান শিল্প গ্রুপের মালিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদনী মোল্লা।
তিনি বলেন, “আমরা আগুন লাগালে তো শুধু টিন আর ঘরের খুঁটি পুড়ত না, মানুষও মারা যেত। ওরা নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে।”
২০০১ সালে ২১ মার্চ ৫১০ জন শেয়ার হোল্ডারকে প্রতিনিধি মনোনীত করে সরকার মিলটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।