ডিজিটাল বাংলাদেশের র্নিমাতা হবে এ প্রজন্ম: নাহিদ

বর্তমান প্রজন্মই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত নির্মাতা হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2014, 12:53 PM
Updated : 21 Oct 2014, 12:53 PM

মঙ্গলবার কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক-ব্যবহারিক জ্ঞান, প্রকৌশল বিদ্যা ও প্রযুক্তির সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষাদানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনই এ সরকারের লক্ষ্য। 

“বর্তমান সরকার নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশের নিমার্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চায়,” বলেন তিনি।

কক্সবাজারে হোটেল লং বিচে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অন স্ট্র্যাটেজিক টেকনোলজির (আইফস্ট) নবম সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।

‘আইফস্ট’র মতো সম্মলনের মধ্যে দিয়ে আমদের সাথে সর্বশেষ আবিষ্কার ও গবেষণালব্ধ ফলাফলের পরিচয় হবে বলে মনে করেন তিনি। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও আইফস্ট প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান সি এম পার্ক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

সম্মেলনেরে প্রথম দিন সকাল ৯টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. কায়কোবাদের মূল বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এরপর সকাল ১০টা থেকে একই সঙ্গে পাওয়ার সিস্টেম, ফলিত প্রকৌশল বিজ্ঞান, পুরকৌশলবদ্যা ও ডিজিটাল সিগন্যালিং প্রসেস- এ চারটি ভাগে প্রকল্প প্রদর্শনী শুরু হয়।

এ সময় দেশ বিদেশের বিভিন্ন গবেষক তাদের পরীক্ষা ও গবেষণা সম্পর্কে ধারণা তুলে ধরেন। প্রদর্শনীর পর জাপান থেকে আগত অধ্যাপক ড. ইশিকো তয়োদা সম্মলনের দ্বিতীয় মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

দুপুর ২টায় শুরু হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এ সময় বক্তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইফস্ট এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনের দৃঢ় পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, “আমরা যে কক্সবাজারে সাগরতীরে দাঁড়িয়ে এ সম্মেলন করছি তা অতি দুর্যোগ প্রবণ একটি এলাকা। আইফস্টের মতো সম্মলনের মাধ্যমে কীকরে দুযোর্গ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সেদিকে লক্ষ্য দেয়া উচিৎ।

তিনি কৃষিক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

চুয়েটের উপচার্য অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে চুয়েটকে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলার পথ সুগম হলো।

বিকাল ৫টা থেকে দুটি বিভাগে আবার প্রকল্প প্রদর্শনীর শুরু হয়,যার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিনের কার্যক্রম। 

সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক গবেষক-বিজ্ঞানী অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোরিয়া, রাশিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মোট ৮টি শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান এতে রয়েছে।