রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ স্নাতকে তৃতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Published : 21 Oct 2014, 05:54 PM
এছাড়া দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম এম সামিরুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দেবাশীষ কর্মকার, সমাজবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান আলী ও ঢাকার তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী নেসার আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর তারিকুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ‘ডি’ ইউনিটের বিজোড় নম্বরধারীদের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞান ভবন থেকে দেবাশীষ, শাহরিয়ার শান্ত ও চার্চিল চাকমাকে আটক করা হয়।
দেবাশীষ কর্মকার অন্যের কাগজপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চার্চিল চাকমাকে সহযোগিতা করছিলেন।
আটক শাহরিয়ার শান্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাইরে থেকে পাঠানো তথ্য নিয়ে উত্তর দিচ্ছিলেন। এসময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সামিরুল ইসলাম পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী দেবাশীষকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
চার্চিল চাকমার ও শাহরিয়ার শান্তর অপরাধের শাস্তি ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ারের বাইরে হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর তারিকুল।
তিনি আরো জানান, বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন থেকে ঢাকার তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী নেসার আহমেদ ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বষের শিক্ষার্থী ইমরান আলীকে আটক করা হয়। তারা অন্যের কাগজপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছেলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
প্রক্টর তারিকুল হাসান জানান, ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় তৃতীয় বিজ্ঞান ভবন থেকে ইমরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করে প্রক্টর দপ্তরে হস্তান্তর করেন দায়িত্বরত পরিদর্শকরা।
ইমরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রক্টর জানান।
মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, আটকদের মতিহার থানা ও প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছে। আর দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ‘ডি’ ইউনিটের বিজোড় নম্বরধারীদের পরীক্ষায় এইচএসসি রেজিস্ট্রেশনের ফটোকপিতে পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর না থাকায় ক্লিটন চন্দ্র নামের এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।