টাকাসহ আটক ইলিয়াসকে রিমান্ডে দেয়নি আদালত

মানি লন্ডারিং আইনের মামলা হওয়ায় চট্টগ্রাম আদালত ভবনে ৫৮ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ইলিয়াস ভুঁইয়াকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ দেয়নি আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2014, 02:54 PM
Updated : 20 Oct 2014, 03:15 PM

সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ‍হাকিম ফরিদুল আলমের আদালতে রিমাণ্ড বিষয়ে আদেশের জন্য নির্ধারিত ছিল।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আদালত ভবন এলাকা থেকে ব্যাগ ভর্তি টাকাসহ গ্রেপ্তারের পর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ইলিয়াসকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ।

পরে চলতি সপ্তাহের রোববার রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মানি লণ্ডারিং আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।

চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই ঘটনায় মানি লণ্ডারিং আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে। ওই মামলা দুদকের সিডিউলভুক্ত হওয়ায় তা দুদক তদন্ত করবে।

“তাই আগের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের ভিত্তিতে রিমাণ্ডের আর প্রয়োজনীয়তা নেই বলে আদালত জানিয়েছেন।”

এদিকে পুলিশের করা মামলার নথি সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে পৌঁছায় নি।

দুদক চট্টগ্রামের পরিচালক আবদুল আজিজ ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিয়মানুসারে পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে মামলার নথি আমাদের কাছে আসবে। এরপর আদালতের নির্দেশক্রমে আমরা তদন্ত করব।

“তখন আসামিকে রিমাণ্ডে নেয়া বা মামলার তদন্তে আরও যা প্রয়োজন সবই করা হবে।”

গত বুধবার বিকালে গ্রেপ্তার ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানির দিনে আদালত ইলিয়াসের মোবাইল ফোন কেন জব্দ করা হয়নি তার কারণ জানাতে কোতোয়ালী থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি রিমাণ্ডের আবেদনের বিষয়ে আদেশ দিতে সোমবার দিন নির্ধারণ করেন।

এসি (প্রশিকিউসন) নির্মলেন্দু বিকাশ বলেন, আদালতের নির্দেশে মোবাইল জব্দ করা বিষয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় বিচারক তা নথিভুক্ত করেছেন। 

মঙ্গলবার সকালে জেএমবি সদস্য পরিচয় দিয়ে এক আইনজীবীর মোবাইল ফোনে জেএমবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আদালত ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকির পর তল্লাশি চলাকালে কাপড়ের থলেতে করে নিয়ে যাবার সময় এসব টাকা ধরা পড়ে।

আদালত ভবন এলাকায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও অবস্থিত।

অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় এসব টাকা যাচ্ছিল।

এ ঘটনায় এলএ শাখার কর্মচারীদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওটার পর শাখাটির মোট ১২ কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।