সোমবার নির্বাহী হাকিম পীযূষ চন্দ্র দের নেতৃত্বে শহরের মুনিগঞ্জ চাঁনমারী কালভার্ট থেকে শুরু করে বাসাবাটি কেবি মাছ বাজার পর্যন্ত ভৈরব নদের তীরে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে।
ব্যসায়ীদের অভিযোগ জেলা প্রশাসন তাদের সময় না দিয়ে হঠাৎ করে স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে। তারা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
পীযূষ চন্দ্র দে জানান, শহরের ভৈরব নদের প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। নদীর তীর রক্ষায় গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের মাইকিং করে এ সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা নির্দেশ না মানায় সকালে শহরের মুনিগঞ্জ চাঁনমারী কালভার্ট থেকে শুরু করে বাসাবাটি কেবি মাছ বাজার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কাঁচাবাজারসহ ৭০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
ঝুড়ি ব্যবসায়ী রনজিত বাইতি, বাসুদেব বাইতি, সুকুমার বাইতি এবং কালিপদ বাইতি বলেন, দশ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু জেলা প্রশাসন হঠাৎ করে সকালে অভিযান চালিয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
ব্যবসার জন্য বিকল্প জায়গা দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা।
বাগেরহাট কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিন মোল্লা বলেন, বাজারে জায়গা স্বল্পতার কারণে শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদের তীরে জেগে ওঠা চরে স্বল্প পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাঁচা স্থাপনা তুলে ব্যবসা করে আসছিল। প্রশাসন এসব স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন।