সব ধরনের সন্ত্রাস, সহিংসতা ও চরমপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিষয়গুলো বিশ্ব শান্তি ও প্রবৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায়।
Published : 18 Oct 2014, 12:01 AM
শুক্রবার ইতালির মিলানে এশিয়া-ইউরোপ আন্তঃমহাদেশীয় ফোরাম আসেমের দশম শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী দিনে এ ফোরামের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের ‘রিট্রিট সেশনে’ দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা করে আসছে।
কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথাও বক্তৃতায় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তিনি সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি কৌশল প্রণয়নের আহ্বান জানান জাতিসংঘের প্রতি।
সম্প্রতি গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জলবায়ু-সহনশীলতার পথে উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে শিল্পোন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিত্রও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে কীভাবে খাপ খাওয়াতে হয়- সে বিষয়ে বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা বিনিময় করতেও বাংলাদেশ প্রস্তুত।”
সম্মেলনের পরে প্রধানমন্ত্রী মিলানের সান্তা মারিয়া দেল গ্রেজির ডায়নিং হলের দেওয়ালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত দেওয়ালচিত্র ‘দ্য লাস্ট সাপার’ দেখতে যান।
আসেম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত বুধবার মিলানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দেওয়া ছাড়াও ইতালি, নেদারল্যান্ডসসহ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক করেন।
সফর শেষে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।