দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ ড. সাইখুল আরিফিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত বছর জেলায় ৮শ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে দুই হাজার হেক্টর জমিতে।
তিনি জানান, এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কলার হাট বসে দশমাইল এলাকায়। এখানে প্রতিদিন দিনাজপুরের কাহারোল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, সদর উপজেলা থেকে কলা নিয়ে আসে চাষিরা। এখান থেকে কলা কিনে নিয়ে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কলার পাইকাররা।
ভালো দাম পাওয়ায় এই অঞ্চলের কলার আবাদে আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
কাহারোল উপজেলার কলা চাষি কমলা কান্ত জানান, ভালো মানের এক ছড়া কলা (১৫০-২০০টি) বিক্রি করে তারা পান তিন থেকে চারশত টাকা।
একই এলাকার কলা চাষি সহিদুর জানান, এক বিঘা জমিতে ছয়শ সাগর কলা গাছ আবাদ করে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। কলা বিক্রি করে পেয়েছেন প্রায় এক লাখ টাকা।
ঢাকার পাইকারি কলা ব্যবসায়ী সাইদুর বেপারী জানান, দিনাজপুরের সাগর কলার চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত ট্রাক কলা লোড হয় এই কলা হাটে। এখানকার ফরমালিনমুক্ত এবং ভালো মানের কলা কিনে তারাও বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন।