সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
Published : 14 Oct 2014, 06:49 PM
আবু বক্কর (৩৫) নামের ওই শিক্ষক সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বালিযোগ গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে।
বক্করকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে মঙ্গলবার পুলিশ মাদ্রাসার সুপার আলী আশরাফকে আটক করেছে।
কামারখন্দ থানার এসআই ফারুক আজম জানান, মাদ্রাসার সুপারকে কামারখন্দ থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে এসআই ফারুক আজম বলেন, সোমবার দুপরে আবু বক্কর বেলকুচি উপজেলার বিশ্বাসবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই মেয়েটি (০৮) মাদ্রাসায় ঝাড়ু দিতে যায়। আবু বক্কর কৌশলে তাকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকেরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ওই সময় মাদ্রাসা শিক্ষকরা বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
এসআই ফারুক আজম আরো বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী মাদ্রাসা ঘিরে ফেলে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে। এ অবস্থায় মাদ্রাসা সুপার আলী আশরাফ অভিযুক্ত শিক্ষক আবু বক্করকে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাদ্রাসার সুপারকে আটক করে।
মাদ্রাসা সুপার আলী আশরাফ বলেন, “মাদ্রাসার ওই শিক্ষক শিশুটিকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্থানীয় সাবেক সদস্য আলোচনা করে ওই শিক্ষককে সরিয়ে দিয়েছেন।”
তবে, সাবেক ইউপি সদস্য আজাহার আলী বলেন, “ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে সুপারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।”