দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার ঘটনায় আটক সাতজনের মধ্যে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যাতে অন্যরাও জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
Published : 28 Sep 2014, 12:36 AM
শনিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আসামি জনি ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সিরাজ জিন্নাতের খাসকামরায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের প্রধান কোর্ট ইন্সপেকটর মো. আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ জবানবন্দিতে জনি বলেছেন, তিনি নিজে ও আটক সুমন মজিদকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া বাকি তিনজনকে হত্যা করার সময় অন্যদের সহযোগিতা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।”
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপর ছয়জনের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও হেফাজতের আবেদন করেন।
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ হেফাজতের আবেদন বাতিল এবং জামিনের পক্ষে বক্তব্য দেন।
রাত ৮টায় আটক সাতজনকেই আদালত পাড়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বুধবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমপুর এলাকার ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে একই পরিবারের চারজনের হাত-পা চোখ বাঁধা লাশ পাওয়া যায়।
নিহতরা হচ্ছেন- সাজু আহমেদ (৩৬) ও তার স্ত্রী রঞ্জি বেগম (২৬) এবং তাদের দুই সন্তান ইমরান (৫) ও সানজিদা (৩)।
বৃহস্পতিপার রাতে নিহত সাজুর ছোট ভাই বশির উদ্দিন বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
ওইদিনই গভীর রাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন-রানি বেগম, মুক্তা বেগম, শাহিদা বেগম, রফিক, আবদুল মজিদ, সুমন ও জনি।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে মূলত ডাকাতির মালের ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্ব আর পরকীয়ার জেরে ডাকাত দলের সদস্যদের নিজেদের কোন্দলেই খুন হয়েছেন সাজু ও তার পরিবারের সদস্যরা।