শনিবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান ভারতে বসে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাদেরই একজন একে খন্দকার। এটা দীর্ঘদিন পর প্রকাশ পেয়েছে।
“একে খন্দকার আওয়ামী লীগে অনুবেশ করে ঘাপটি মেরেছিলেন। তার লেখা বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এদের বিচার হবে। তাদের যেসব দোসর বেঁচে নেই তাদেরও মরণোত্তর বিচার করা হবে।”
সম্প্রতি প্রকাশিত এ কে খন্দকারের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বই গত ৩ অগাস্টে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
বইয়ে তিনি লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘জয় পাকিস্তান’ বলে। আর সশস্ত্র যুদ্ধের কোনো প্রস্তুতি ছিল না রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
বিকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ যাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।
আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১০ হাজার টাকায় উন্নীত হবে। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
যাদুঘরটির উদ্যোক্তা বিজ্ঞানী আজাদ খান। উপজেলার র্যালি আবাসিক এলাকার খানবাড়িতে যাদুঘরটি গড়ে তোলা হয়েছে।
যাদুঘরের উপদেষ্টা কুতুব উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমা মিঞা, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজনীন, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, যুদঘরের প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী আজাদ খান প্রমুখ।
যাদুঘরটিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন জিনিসের রেপ্লিকা স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আধুনিক ট্রেন, ব্রিজ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ছাড়া চালিত পাখা ইত্যাদি।
যাদুঘরটিতে প্রবেশের জন্য সর্বসাধারণের কোনো ফি লাগবে না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যাদুঘরটি প্রদর্শনের জন্য খোলা থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।