যুক্তরাষ্ট্রে শান্তি সম্মেলনে কো-চেয়ারের দায়িত্বে শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে সেখানে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 04:01 PM
Updated : 17 Sept 2014, 04:01 PM

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে কো-চেয়ার থাকবেন শেখ হাসিনা।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ২১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও যোগ দেবেন।

সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে সামনে রেখেই সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৫০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অর্থ, স্বাস্থ্য, প্রবাসী কল্যাণ, বন ও পরিবেশ এবং খাদ্যমন্ত্রীও থাকবেন।

নিউ ইয়র্কে শান্তি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কো-চেয়ার হওয়াকে সরকারের ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ আখ্যায়িত করে মাহমুদ আলী বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং উন্নয়নে ব্যক্তিগত অবদানের জন্য এবং জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনে কো-চেয়ার হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রে ভারত, নেপাল, চিলি, কাতার এবং বেলারুসের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

“এসব বৈঠকের দিন-তারিখ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে,” বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি একে আবদুল মোমেন এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার বৈঠকটি ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে।

মাহমুদ আলী নিজেও সার্ক, ওআইসি, ন্যাম এবং জি-৭৭ ছাড়াও কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জোটের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তব্য দেবেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  

মাহমুদ আলী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিশ্ব নিরাপত্তা ও শান্তি, গণতন্ত্র ও সুশাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার, দারিদ্র দূরীকরণ ও জলবায়ূ পরিবর্তনের ঝূঁকি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরবেন।

“সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থানও তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জাতিষংঘ মহাসচিব বান কি মুনের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা ‘ক্লাইমেট সামিট ২০১৪’ এ যোগ দেবেন। 
২৪ সেপ্টেম্বর ‘গ্লোবাল এডুকেশন ফার্স্ট ইনিশিয়েটিভের’(জিইএফআই) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কন্যাশিশু ও নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরবেন।

২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৪০ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া নিউ ইয়র্ক সেন্ট্রাল পার্কে ‘গ্লোবাল সিটিজেন ফেস্টিভ্যাল ২০১৪’ এ বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘ মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এসব বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো জোরালো করবে বলে ব্রিফিংয়ে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।