বাঁধ রক্ষায় অবিরাম প্রচেষ্টা স্থানীয়দের

তিস্তার ভাঙন রোধে স্থানীয়দের নির্মিত একটি বালুর বাঁধ রক্ষার চেষ্টাও করছেন নিজেরাই।

আনিসুর রহমানআনিসুর রহমানলাডলা, লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 03:14 PM
Updated : 17 Sept 2014, 03:14 PM

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় এলাকায় স্থানীয়রা পাঁচশ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বালুর বাঁধ নির্মাণ করেন।

ইতোমধ্যে বাঁধটির দুইশ মিটার তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুবেন্দু খাস্থগীর জানান, নদী ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয়রা দুবছর আগে তিস্তার চরে ওই বালুর বাঁধটি নির্মাণ করেন।

তিস্তায় পানি কমে যাওয়ায় ওই বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বাঁধটির প্রায় ২শ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

তিনি বলেন, বাঁধটি ভেঙে গেলে ওই এলাকার ভাটিতে থাকা বালাপাড়া, চৌরাহা, কুটিরপাড়সহ কয়েকটি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হবে তিস্তার গর্ভে। শুধু তাই নয় যথেষ্ট ঝুঁকিতে পড়বে ভাটিতে থাকা কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় লোকদের নিয়ে বাঁশের পাইলিং ও বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে।

স্থানীয়দের আশংকা, বাঁধটি ভেঙে গেলে কয়েক হাজার মানুষ গৃহহারা হয়ে পড়বে। যে করেই হোক বাঁধটি রক্ষা করতেই হবে।

তাই স্থানীয়রা ওই বাঁধে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করে কাজ করছেন।

ওই এলাকার স্কুল শিক্ষক আব্দুল আউয়াল জানান, বাঁধটি ভেঙে গেলে কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হবে।

মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী  জানান, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং ও বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুবেন্দু খাস্থগীর আরো বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ওই বাঁধে কাজ করার মতো বরাদ্দ নেই। তবে বাঁধটি রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহুরুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি ভেঙে গেলে কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হবে। তাই উপজেলা প্রশাসন বাঁধটি রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।