কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনের সিটিও’র ৫৪তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরাম।
Published : 08 Sep 2014, 12:41 PM
সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে তথ্য ও প্রযুক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুযোগ সমবণ্টনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নাম কমনওয়েলথ হলেও সবগুলো রাষ্ট্রের মধ্যে কল্যাণ সমপরিমাণে ভাগ হয় না। তবে আমরা আশা করি অন্তত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সিটিও সকল সুযোগ সুবিধা সমপরিমাণে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে বিতরণ করবে।”
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকার, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অপারেটরসহ এ খাতের অংশীদারদের জন্য সিটিওর ফোরাম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “বাংলাদেশ সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ওয়েবপোর্টাল চালু করেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩০টি দেশে বাংলাদেশের প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সাড়ে চারশ ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, যেগুলো থেকে সাধারণ মানুষ প্রযুক্তি সেবা গ্রহণ করতে পারছে।”
সিটিও কাউন্সিল মিটিং মূলত সিটিওর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা। প্রতিবছর একবার কমনওয়েলথভুক্ত একটি দেশে এই সভা হয়। সভা চলবে বুধবার পর্যন্ত।
সিটিওর সদর দপ্তর লন্ডনে। গত বছর নাইজেরিয়ায় এ ফোরামের বার্ষিক সভা হয়।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্ব নির্ধারণ, ভবিষ্যৎ কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংগঠনের অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পের আর্থিক ও কৌশলগত পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত সুপারিশ উপস্থাপন করা হয় এই সভায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটিওর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক টিম আনউইন, নাইজেরিয়ান টেলিকমিউনিকেশনস কমিশনের প্রধান নির্বাহী ড. ইউজিন জুয়াহ, বাংলাদেশের টেলি যোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস প্রমুখ।
বাংলাদেশ থেকে এ সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এই সম্মেলনের মিডিয়া পার্টনার।