কালিয়াকৈর থানার ওসি ওমর ফারুক রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই আসামি পালায়নি তিনি থানা হাজতেই রয়েছে।
পুরো ঘটনাটিকে ‘পুলিশের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে, আসামি পালানোর কথা স্বীকার করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আসামি পালানোর ঘটনা জানার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিনি শনিবার রাত ১০টার দিকে কালিয়াকৈর থানায় যান। কিন্তু সেখানে লিটনকে পাওয়া গেলেও দেলোয়ার নামের ওই আসামিকে দেখতে পাননি।
ওসির কথার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে (আসামি দেলোয়ার) থানায় থাকবে কেন সে তো পালিয়েছে। এ ব্যাপারে লুকানোর কিছু নেই। ওসিকে বলেছি, দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করতে। তবে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায়ও ওসি আমাকে ওই আসামি পাওয়া গেছে কিনা তা জানাননি।”
পুলিশ সুপার হারুনও জানান, এখনও পলাতক ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসপি ও এএসপির স্বীকারোক্তি পাওয়ার পর আবারো ওসির কাছে ফোন করেন আমাদের প্রতিনিধি।
অন্য কাউকে ‘দেলোয়ার’ হিসাবে থানা হাজতে আটকে রাখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি ওমর ফারুক কোন কথা না বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই আসামির জন্য আলাদা আলাদা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নিয়ম থাকলেও পুলিশ একই কাগজে দুইজনের পরোয়ানা নিয়ে আসে। তাই তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল আসামি কারাগারে রেখে কাগজ ঠিক করে আনতে। কিন্তু পুলিশ পরদিন কাগজ ঠিক করে নিয়ে আসবে বলে আসামিসহ কালিয়াকৈর থানার উদ্দেশে রওনা দেয়।”
পলাতক দেলোয়ারের বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ভাতাড়িয়া এলাকায়। তার সঙ্গে সাজা প্রাপ্ত আরেক আসামি লিটনের বাড়িও একই জায়গায়। দুজনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।