শুক্রবার লায়লা পারভিন ও আরিফ কাউছারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে চিকিৎসার জন্য আহত ওই ছাত্রকে শুক্রবার রাজশাহী পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও সালমা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বরখাস্ত করা ও তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশনা মোতাবেক শুক্রবার দুপুরে লায়লা পারভিন ও আরিফ কাউছারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মুসহাক আলী আরো জানান, ডিডি স্যার রাজশাহীর হাসপাতালে অসুস্থ ওই ছাত্রকে দেখতে যান। তিনি চিকিৎসার কাজে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
“এছাড়া আমি সার্বক্ষণিক রাজশাহীতে ওই ছাত্রের পাশে রয়েছি,” বলেন তিনি।
সিংড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক আলীকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মুরাদ হোসেন ও সিংড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
শনিবারের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
অসুস্থ শিশুর বাবা ইস্রাফিল হক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেটিকে শুক্রবার রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহরাব হোসেন তার জননাঙ্গের ক্ষত দেখে পাঁচটি পরীক্ষা দিয়েছেন।
পরীক্ষার ফলাফল পেলে চিকিৎসা শুরু করা হবে বলে ইস্রাফিল হোসেন জানান।
সিংড়া উপজেলার বিয়াম স্কুলের দুই শিক্ষক বেত্রাঘাত করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কাব্যকে রক্তাক্ত করে। এতে তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।