বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সারিয়াকান্দি উপজেলার রয়াদহ এলাকায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় আধাকিলোমিটার স্থান দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি ঢুকতে থাকে এসব এলাকায়।
সামনে বার্ষিক, প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাশে যেতে না পারলে তাদের ফলাফল নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানি বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুল আলম জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার পর আয়শা ওসমান বালিকা বিদ্যালয়, নওখিলা পিএন উচ্চ বিদ্যালয়, নিজকর্ণিবাড়ি মাদ্রাসা ও চন্দবাইশা ডিগ্রি কলেজসহ আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা বন্যার পানি ভেঙে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না বলে তিনি জানান।
সারিয়াকান্দির দড়িপাড়া গ্রামের আবদুল বাছেদ জানান, “গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। তাই বিদ্যালয় খোলা থাকলেও মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারছি না।
ধুনটের গোসাইবাড়ী এ এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বাবলু ও কে ও বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল বারী বুলবুল জানান, বিদ্যালয় খোলা থেকে লাভ নেই। আশপাশের গ্রামে পানি ঢুকেছে, তাই ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসা অসম্ভব।
বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী সারিয়াকান্দির কামালপুর, দড়িপাড়া, বোহাইল এলাকার। ওইসব এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
এ কারণে ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল ভালো নাও হতে পারে। তবে বন্যার পানি নেমে গেলে বিশেষ ক্লাশ নিয়ে তাদের এ ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।