পুলিশ বলছে, ওই দুই নারী হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কালা বাবুর চাচী।
রমনা বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার ইকবাল হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে সোনালীবাগের এক বাসা থেকে তাদের আটক করে রমনা থানায় নেয়া হয়।
“তারা কতটুকু জানেন তা জানার জন্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
ওই দুজনের নাম জানতে চাইলে রমনা থানার এসআই মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোনো সমস্যা না থাকলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।”
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা করা হয়নি বলে এসআই মিজানুর জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার সোনালীবাগের একটি বাড়িতে গুলিতে নিহত হন বৃষ্টি আক্তার ওরফে রানু, বিল্লাল হোসেন ও মুন্না নামের তিনজন। রানুর ভাই হৃদয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতদের স্বজনরা এই হামলার জন্য স্থানীয় ‘সন্ত্রাসী’ কালাবাবুকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, চাঁদা না দেয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
অবশ্য পুলিশের ধারণা, রেলের জমির দখল নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত বৃষ্টি মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কালা চাঁনের বড় বোন।
এলাকাবাসী জানায়, কালাচাঁনের দখল করা জমিতে টিনশেড ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছিলেন বৃষ্টি। স্থানীয় সন্ত্রাসী কালা বাবু অনেক দিন ধরেই ওই জমির দখল নিতে চায়।
ঢাকার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল খালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেলের জমির দখল নিয়ে কালা চাঁন ও কালা বাবুর মধ্যে ঝামেলা ছিল।