এদিকে সাহিদকে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার পুরান ঢাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
রাজধানীর সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহিদকে মঙ্গলববার রাতে তার বাসার সামনে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ডান হাত, পেট ও বুকে গুলিবিদ্ধ সাহিদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সম্প্রতি ধানমণ্ডিতে গুলিবিদ্ধ হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম। তাকে গুলির ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও কিছুদিন আগে আগারগাঁওয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
“এখনো এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে,” বলেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলেও সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরাফাতুল জানান।
স্বজনরা বলছেন, গুলি করতে পারে এমন শত্রুতার কারো সঙ্গে সাহিদের নেই।
দুই ছেলে এক মেয়ের জনক সাহিদ ব্যবসা করতেন, শ্যামবাজারে তার আড়ত রয়েছে। বেশিরভাগ সময় ফরাশগঞ্জ ক্লাবে তাকে আড্ডা দিতে দেখা যেত।
সাহিদের ভাগ্নিজামাই মো. শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কারো সঙ্গে উনার কোনো বিরোধ ছিল না।কেন এই ঘটনা, বুঝতে পারছি না।”
গুলিবর্ষণের সময় সাহিদের সঙ্গে মোটর সাইকেলে দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনের বাসায় ফিরছিলেন শাকিলও।
তিনি বলেন, হঠাৎ মোটর সাইকেল যোগে সন্ত্রাসীরা এসে তাকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
ওই সময় রানু নামে সাহিদের এক বোনও বাসার সামনে থাকায় তিনিও গুলিবিদ্ধ হন বলে শাকিল জানান।
সাহিদকে গুলির প্রতিবাদে বুধবার সকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
সূত্রাপুর থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ মান্নাফি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু মিয়া, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুবলীগ নেতা গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু ও কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান সোহেল এই সমাবেশে ছিলেন।