মঙ্গলবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে ‘ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট’ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই পরামর্শ দেয়া হয়।
‘কিউবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে এই পরামর্শ দেয়া হলেও তাতে ভিন্নমত জানান আলোচক অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান।
কিউবার সাথে বাংলাদেশের তুলনা করার বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, “কিউবার শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের শাসন ব্যবস্থারই কোনো মিল নেই। আমাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যবসায়ী। আর আমরা সে ব্যবসার উপদান।”
বাংলাদেশ ও কিউবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে মূল প্রবন্ধে ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, “কিউবার মতো রাষ্ট্র যেখানে দিনের পর দিন স্বাস্থ্য খাতে তাদের বরাদ্দ বৃদ্ধি করছে, সেখানে বাংলাদেশে দিনের পর দিন তা কমছে।”
বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে মোট বাজেটের ৬.১৭ শতাংশ বরাদ্দ থাকলেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা ৪.২ শতাংশে নেমে আসার তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ বলেন, “আমাদের অনেক সম্পদ, দক্ষ জনশক্তি এবং অনেক অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমরা যেখানে উন্নতি করতে পারছি না। বিপরীতে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে কম সম্পদশালী হয়েও তারা (কিউবা) আজ উন্নত।”
অর্থনীতির এই শিক্ষক বলেন, “আমরা সবসময় কেবল জিডিপি প্রবৃদ্ধির পেছনে ছুটছি। কিন্তু এ কথা ভুলে গেলে হবে না যে, জিডিপি বাড়া মানেই দারিদ্র্য কমে যাওয়া নয়।”
ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রশিদ-ই-মাহবুব ছাড়াও বারডেম হাসপাতালে কর্মরত কিউবার চিকিৎসক ডা. গার্সিয়া বক্তব্য রাখেন।