একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার নেত্রকোনার সাবেক দুই মুসলিম লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
Published : 13 Aug 2014, 05:55 PM
একইসঙ্গে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারকৃত ওবায়দুল হক ওরফে আবু তাহের (৬৭) এবং আতাউর রহমান ননীর (৬২) বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার প্রসিকিউশনের আবেদনে এ আদেশ দেন।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর নেত্রকোনার সদর এলাকা থেকে এ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার তাদের দুজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল। তাকে সহায়তা করেন সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি।
শুনানি শেষে মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, শুনানিতে তারা (গ্রেপ্তারকৃতরা) নিজেদের পক্ষে কোনো আইনজীবীর ওকালতনামা জমা দেয়নি এবং তাদের পক্ষে কোনো জামিন আবেদন না থাকায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরো বলেন, তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত ৩(২) ধারায় হত্যা, আটক, নির্যাতন,লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে আটক করার প্রয়োজন বলে আদালত তাদের বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত তিন মাসে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানায় গ্রেপ্তার হওয়া চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যক্তি হলেন আবু তাহের ও ননী।
এর আগে শাখারীকাঠী গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক তিন আসামি সিরাজ মাস্টার,আকরাম হোসেন খান ও আব্দুল লতিফ তালুকদারকে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা, রাজশাহী ও বাগেরহাট সদর থেকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়া বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ফোরকান মল্লিককে পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ১৫ মে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করানোর পরেও কিশোরগঞ্জের হাসেন আলীকে গ্রেপ্তার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রসিকিউশনের উপর অসন্তিুষ্টি প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল-১।গত ৩ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। হাসেন আলী এখনো পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক জাতীয় পার্টি নেতা পিরোজপুরের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হওয়ার পরেও তিনি গ্রেপ্তার না হননি। এ ব্যাপারেও পিরোজপুর জেলার এসপি, মঠবাড়িয়ার থানার ওসি ও তেজগাঁ থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলো ট্রাইব্যুনাল।