জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও শান্তি রক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা হার্ভে ল্যাডসাউ বৃহস্পতিবার দেখা করতে গেলে তাকে এই আহ্বান জানান তিনি।
শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বড় সৈন্য সরবরাহকারী দেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা মনে করেন, এই পদক্ষেপ নেয়া হলে শান্তিরক্ষা মিশনে মাঠ পর্যায় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ের মধ্যে সমন্বয় নিবিড় হবে।
গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ল্যাডসাউয়ে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে মাঠ পর্যায়ের চাহিদাগুলো জানা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য সহজ হবে।
জাতিসংঘ মিশন থেকে ফেরা বাংলাদেশি কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ের চাহিদাগুলোর বিষয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন বলে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মহাসচিব বান-কি মুনের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন হার্ভে ল্যাডসাউ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অংশীদার অভিহিত করে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের উচ্চ প্রশংসা করেন তিনি।
আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে আরো শান্তিরক্ষী প্রয়োজন বলে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব জানান।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া সৈন্যদের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট ট্রেইনিং (বিপসট) প্রতিষ্ঠার প্রশংসাও করেন তিনি।
হার্ভে ল্যাডসাউ বৃহস্পতিবার এর আগে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে গিয়ে বিপসট পরিদর্শন করেন।
তিনি বিপসটের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিস্তারিত শোনেন এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ সহায়ক সুবিধাগুলো ঘুরে দেখেন।
হার্ভে ল্যাডসাউ যুদ্ধাঞ্চলে মানবিক সাহায্য সামগ্রীর কনভয় এবং জাতিসংঘ শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের উদ্ধারে শান্তিরক্ষা বাহিনীর উদ্ধার অভিযানের একটি মহড়া দেখেন।