একরাম হত্যার আসামি মিনারকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ফেনীর ফুলগাজীতে চাঞ্চল্যকর একরামুল হক হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার ওরফে মিনার চৌধুরীর জামিন স্থগিত করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2014, 09:32 AM
Updated : 20 July 2014, 12:42 PM

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রোববার এই আদেশ দেন।

মিনারকে দেয়া হাই কোর্টের জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন তিনি।

Mahtab Uddin Chowdhury Minar

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. একরামুল হক টুটুল। মিনারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

পরে টুটুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের যুক্তি ছিল, এজাহারে মিনারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। ১৬৪ ধারায় অন্য আসামিদের দেয়া জবানবন্দিতেও তার নাম এসেছে। এ ধরণের স্পর্শকাতর ও নৃশংস ঘটনার প্রধান আসামি জামিনে থাকতে পারেন না।”

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আত্মসমর্পণ না করলে পুলিশ মিনারকে গ্রেপ্তার করতে পারবে বলেও জানান তিনি।

হাই কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর গত ১৭ জুলাই ফেনী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান এই বিএনপি নেতা।

এর আগে হাই কোর্টের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও কে এম কামাল কাদেরের বেঞ্চ স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালিন জামিন দেয়।

গত ২০ মে ফেনীর একাডেমি এলাকায় বিলাসী সিনেমা হলের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে হত্যা করা হয়।

নিহতের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম ওই দিনই ফেনী জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক মাহাতাব উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামি দেখিয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলা হওয়ার পর গত ২৭ মে গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা থেকে মিনার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ৪ জুন থেকে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।