কক্সবাজার সদর থানায় ছাত্রলীগের হামলা , ভাংচুর ও বিপরীতে পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জলা প্রশাসন।
Published : 19 Jul 2014, 06:36 PM
এ কমিটির একমাত্র সদস্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হোসেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শুরু হওয়া প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এক সভা শেষে বিকাল ৫টায় এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন।
জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিবেদন দাখিলের পর দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করা হবে।
সভায় পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের ঘটনায় পুলিশকে গুলিবর্ষণের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
পুলিশের পক্ষে কেন গুলিবর্ষণ করা হলো তা বের করা হবে বলে জানান তারা।
পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া জানান, এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কর্মীকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনিসহ ছাত্রলীগের একদল কর্মী থানায় গেলে পুলিশ তাদেরও ব্যাপক মারধর করে।
এরপর তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে প্রতিবাদ করলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ করে।
ছাত্রলীগের পক্ষে সদর থানা, ট্রাফিক পুলিশ ও পুলিশের ব্যারাকে হামলা ভাংচুর করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেকুল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কলম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের একটি কর্মীকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশ। এর জেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কক্সবাজার সদর থানা, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, পুলিশের ব্যারাকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।