এক কর্মীকে আটকের জেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কক্সবাজার সদর থানায় হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 18 Jul 2014, 10:24 PM
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ হামলার পর পুলিশের সঙ্গে তাদের প্রায় আধঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এ কারণে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। এতে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমানসহ অন্তত দুই জন আহত হয়েছেন।
তবে, এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কোনো নেতা কথা বলতে রাজি হননি।
ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের লালদিঘীর পাড় এলাকায় হিমু নামের এক ছাত্রলীগকর্মী ‘অবৈধ’ মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ গতিরোধ করে।
এ সময় ওই ছাত্রলীগকর্মী এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে টানাহেঁচড়া করলে আরো পুলিশ একত্রিত হয়ে ওই ছাত্রলীগকর্মীকে মোটরসাইকেলটিসহ আটক করে।
ওসি বলেন, “এ ঘটনার জেরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগকর্মী কক্সবাজার সদর থানায় আসেন। এখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।”
এরপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা থানা থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে অবরোধ দিয়ে যানবাহন ভাংচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মিছিলসহ কক্সবাজার থানায় গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর শুরু করে।
একইসঙ্গে থানার পাশের ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, পুলিশের ব্যারাকে হামলা ও ভাংচুর চালায় বলেও জানান ওসি।
কিন্তু এরপরও তাদের হামলা-ভাংচুর অব্যাহত থাকলে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ শুরু করে।
গুলিতে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান ও আরেক ব্যক্তি সামন্য আহত হন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসার পর ছাত্রলীগকর্মী শহরের কয়েককটি পয়েন্টে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাংচুর করছে।
কক্সবাজার সদর থানাসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহাম্মদকে ফোন করা হলে তিনি কিছু বলতে অসীকৃতি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদ ফোন রিসিভ করেননি।