আর দশ হাত জায়গা ভাংলেই তিস্তায় বিলীন হয়ে যাবে ৭৪ বছরের পুরনো ঢুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যেই ওই এলাকার ২৫টি পরিবারের বাড়িঘর ও বসতভিটা এ নদীতে তলিয়ে গেছে।
Published : 04 Jul 2014, 05:13 PM
যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়টি রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম ঢুষমারা চর। তিস্তা নদী বেষ্টিত এ গ্রামে ৪৫০ পরিবারের বাস। ১৯৪০ সালে গ্রামটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ঢুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৩৪৫ জন। ২০০৫ সালে একতলা এবং ২০১১ সালে দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
তাই ভয়ে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার বলার পরও ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।”
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হক জানান, ইতোমধ্যে ঢুষমারা চরের ২৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে চরের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।
বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বলেও কাজ হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম মুকুল বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত স্কুলে আসছি। ভাঙনের ভয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে নান।”
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই একটা ব্যবস্থা হবে।”