সংঘাতপূর্ণ ইরাক থেকে ‘প্রয়োজনে’ বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে সরকার।
Published : 20 Jun 2014, 09:30 PM
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘প্রয়োজনে’ ইরাক থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে আনার জন্য এরইমধ্যে ‘প্রাথমিক কাজ’ শুরু করা হয়েছে।
অবশ্য এই মুহূর্তে তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
“তাদের (বাংলাদেশি নাগরিক) ওপর হামলা করা হচ্ছে না। তাই এখনই আমরা তাদের সরিয়ে আনার কথা ভাবছি না,” বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সহায়তার জন্য এরইমধ্যে হটলাইন চালু করেছে বাগদাদে বাংলাদেশ মিশন এবং কেউ দেশে ফিরতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলেও দূতাবাস জানিয়েছে।
“সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সরকার,” এক বিবৃতিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাস ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ইরান, কুয়েত, জর্ডান ও তুরস্কে এদেশীয় দূতাবাসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে ১৪ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এদের অধিকাংশই নির্মাণ শ্রমিক।
দেশটিতে ৩০ হাজার কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গত বছর ইরাক সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ সরকার।
তবে ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে সুন্নি বিদ্রোহীরা কয়েকটি শহর দখলে নেয়ার পর গত সপ্তাহে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানো স্থগিত করে সরকার।
২০০৩ সালে ইরাকে সামরিক অভিযান চালিয়ে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী। ২০১১ সালে সেখান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
তার দুই বছর পর ইরাকের ক্ষমতাসীন শিয়া মতাবলম্বী প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকির সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলায় নেমেছে সুন্নি বিদ্রোহীরা। এরই মধ্যে মসুলসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে তারা।
এই সুন্নি বিদ্রোহীদের দমনে ইরাকে আবারো সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।