রাজধানীতে ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ফরমালিন বিক্রেতাদের তালিকা সংগ্রহ করা শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
Published : 12 Jun 2014, 06:02 PM
এরই মধ্যে গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ফরমালিন আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিক্রেতারা ফরমালিন কিভাবে আমদানি করছে, কার কাছে বিক্রি করছে তা খুঁজে বের করা হবে।
“কেন বেশি আমদানি হচ্ছে জানতে ফরমালিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশ আলাপ করবে।”
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ফরমালিনের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। খাদ্যে পচন রোধে এই রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহার মানবস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন।
ফরমালিনের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০১৩ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের জানিয়েছিলেন, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৩ সালের অগাস্ট পর্যন্ত কোনো ফরমালিন আমদানি হয়নি।
“অথচ খবর পাচ্ছি, বাজারে ফরমালিনভরা। এসব ফরমালিন কি অবৈধভাবে আমদানি হচ্ছে, না আগে আমদানি করা ফরমালিন।”
এই রাসায়নিকের অতিব্যবহার ঠেকাতে গত বুধবার অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে যে পরিমাণ ফরমালিন আমদানি করা হচ্ছে, সে পরিমাণ প্রতিষ্ঠান নেই। বেশি আমদানির কারণ বের করতে হবে।
এদিকে, ঢাকায় ফরমালিন মেশানো ফল জব্দের অংশ হিসেবে প্রথম দিনের অভিযানে প্রায় ৩ হাজার মণ আম, দুইশ’ মণ জাম ও ১৫ লাখ ফরমালিনযুক্ত লিচু জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান যুগ্ম কমিশনার মনিরুল।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নষ্ট করে দেয়া ফলগুলোতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ফরমালিন মেশানো ছিল। লিচুতে ১.৪৯ থেকে ৩১ পিপিএম পর্যন্ত, আমে ২.৪৮ থেকে ১২৫ পিপিএম মাত্রায় ফরমালিন পাওয়া গেছে। অথচ ফলের ক্ষেত্রে ফরমালিনের গ্রহনযোগ্য মাত্রা ০.১৫ পিপিএম।”
বুধবার থেকে রাজধানীর আটটি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে শুরু হওয়া এ অভিযানে তিন জনকে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি ১২ জনকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।