রোববার সচিবালয়ে ‘নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে’ পুনঃগঠিত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে। এখন থেকে এই অভিযানের সঙ্গে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।
“আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে যেন আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি এজন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যতই প্রভাবশালী লোক হোক না কেন প্রভাবমুক্ত থেকেই নদীগুলোকে দখলমুক্ত করা হবে।”
আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে নদীর দখল ও দূষণমুক্ত করতে ভ্রাম্যমান আদালাতের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান টাস্কফোর্সের প্রধান নৌমন্ত্রী।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে ‘নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে’ টাস্কফোর্স গঠন করে। ওই টাস্কফোর্সের ২৩টি সভা হয়েছিল।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে শাজাহান খানকে আহ্বায়ক করে টাস্কফোর্স পুনঃগঠন করে আওয়ামী লীগ।
ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোর অধিকাংশ সীমানা পিলারই ঠিক আছে জানিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, যেসব অভিযোগ আছে তা নিরসনে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নদীর দখল ও দূষণ রোধে জনগণকে সচেতন করতে সাংসদ সানজিদা বেগমকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরো একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান শাজাহান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীগুলোর বর্তমান অবস্থা জানাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হবে। তাদের জবাব পেলে এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে।
হবিগঞ্জের সোনাই নদীতে নির্মিতব্য সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল আছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ওই প্রতিষ্ঠনের পক্ষ থেকে কিছু কাগজপত্র দেখানো হয়েছে। সেগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিছুল ইসলাম ইসলাম মাহমুদসহ টাস্কফোর্সের অন্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।