পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর আগে বেশকিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে রয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের জন্য নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ, যার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
Published : 24 May 2014, 08:02 PM
সেতু প্রকল্পের কাজে বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রপাতি রাখা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসের জন্য কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে।
২০১৩ সালের ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী শাসন বাঁধের উদ্বোধন করার পর ভারতীয়া এবং এমএম বিল্ডার্স নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে।
বাঁধটির পুরো কাজে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছে সেতু বিভাগ।
এম এম বিল্ডার্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নেছার উদ্দিন বলেন, তারা পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের নিরাপত্তার জন্য ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জাজিরার নাওডোবা পয়েন্টে পদ্মা নদীতে দুই কিলোমিটারের বেশি নদী শাসন বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করেচেন।
আগামী ৩০ মে এই প্রকল্পটি তারা সেতু বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (নদী শাসন) শরফুল ইসলাম সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নদী শাসন কাজ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন মোতাবেক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কাজটি পানি উন্নয়নে বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করছেন। কাজের গুণগত মানে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ কাজ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি ঝুলে যায়।
দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে ২০১২ জানুয়ারিতে দেশের সবচেয়ে বড় এ অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় সরকার। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯১ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়।