এসব হজ এজেন্সির অনিয়ম তদন্তে ধর্ম মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (হজ) জাহাঙ্গীর আলম বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন এবং শাস্তির বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরবেন।
গত বছর হজ করতে ৮৭ হাজার ৮৫৪ জন সৌদি আরব যান। ৬২৮টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে তারা হজ পালন করেন।
২০১৩ সালের হজ মৌসুমে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে এ সংক্রান্ত কমিটি গত ৪ থেকে ৬ এপ্রিল অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলোকে শুনানিতে ডাকে।
এর মধ্যে ৪ এপ্রিল ৬৫টি, ৫ এপ্রিল ৬১টি এবং ৬ এপ্রিল ৬৭টি এজেন্সি তদন্ত কমিটির শুনানিতে অংশ নেয়।
উপসচিব জাহাঙ্গীর বলেন, হজের পরপরই কয়েকটি হজ এজিন্সের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। বেশ কয়েকটির সনদ বাতিল করে জারিমানাও করা হয়।
যেসব হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের সনদ বাতিল ছাড়াও দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্কের জারিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজের নামে মানুষ পাচার, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হাজীদের বাড়িতে না রাখা, যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা না করা, একই কক্ষে গাদাগাদি করে অবস্থান, পর্যাপ্ত গাইড না রাখা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এবার ১৪টি এজেন্সির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মানব পাচারের অভিযোগে ৪-৫টি এজেন্সি শাস্তি পেতে যাচ্ছে।
মানব পাচারের অভিযোগে এজেন্সিগুলোর জামানত বাজেয়াপ্তসহ হজ লাইসেন্স বাতিল এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, গত বছর টাকা নিয়ে হজে না পাঠানোর অপরাধে সৌদি এয়ার সার্ভিস ও রফিক ট্রাভেলের লাইসেন্স বতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, আর্থিক জরিমানা করে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।