মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্তের জন্য ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
Published : 23 Apr 2014, 12:01 AM
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ প্রতিবেদন দাখিলের সময় তিন মাস বাড়িয়ে দেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে নাজিম উদ্দিন রোডে স্থাপিত এই আদালতের বিশেষ এজলাসে এ দিন হাজিরা দেন মামলার প্রধান আসামি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আলোচিত এই মামলারি বিচারের প্রায় শেষ পর্যায়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত শেষ করতে আরো সময় প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৩৩ বছর আগে নিহত এই সেনাকর্মকর্তার স্ত্রীর বক্তব্য নিতে চাইলেও তার ঠিকানা এখনো পাননি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী এমদাদুল হক এবং অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়াও আদালতে হাজিরা দেন।
৫ আসামির মধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুল লতিফ এবং অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায়ের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এই আদালতে তখনকার বিচারক হোসনে আরা আক্তার বদলি হওয়ায় নতুন বিচারক খন্দকার হাসান ফিরোজ ফের যুক্তিতর্ক শোনার সিদ্ধান্ত নেন।
নতুন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান ওই আদালতের পিপি আসাদুজ্জামান খান রচি।
চট্টগ্রামে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
তখন সেনা প্রধান ছিলেন এরশাদ, যিনি পরে সামরিক আইন প্রশাসক হন। এরশাদ পরে রাষ্ট্রপতির আসনে বসেন, নয় বছর পর গণআন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হয় তাকে।
হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যামামলা করেন।
ওই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বর্তমানে এরশাদসহ আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন।