দুই ছাত্রকে সাগরে রেখেই সাতদিনের মাথায় উদ্ধার অভিযানে সমাপ্তি টানা হয়েছে। তবে সাগরে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
Published : 20 Apr 2014, 10:03 PM
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গত ১৪ এপ্রিল সাগরে ভেসে যাওয়া চার ছাত্রের উদ্ধারে সেদিনই নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড অভিযান শুরু করে। দুদিন পর দুই ছাত্রের লাশ পাওয়ার পরও অভিযান চলছিল।
রোববার দিনভর অভিযান চালিয়েও কোনো সন্ধান না পাওয়ার পর সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার হারুন উর রশীদ।
ইশতিয়াক বিন মাহমুদ উদয় ও সাব্বির হাসানকে সাগরে রেখেই উদ্ধার অভিযানে সমাপ্তি টানা হল।
উদয়ের বাসা ঢাকার বাসাবোর মায়াকাননে। তার বাবা মাহমুদ উল্লাহ গাজী বেসরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। মা দিল আফরোজ বেগম কমলাপুর স্কুলের শিক্ষিকা। তাদের তিন ছেলের মধ্যে উদয় বড়।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা হারুন সাংবাদিকদের বলেন, অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হলেও তাদের নিয়মিত নজরদারি থাকবে।
“কোথাও ভেসে আসলে তা পাওয়া যাবে,” বলেন তিনি।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা জানান, এই দুই ছাত্রের সন্ধানে সেন্ট মার্টিনের পাশাপাশি টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার ও কুতুবদিয়া উপকূলেও তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গত ১৬ এপ্রিল শাহারিয়ার ইসলাম নোমান ও গোলাম রহিম বাপ্পীর লাশ পাওয়া যায়।
ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্ররা বাংলা নববর্ষ শুরুর দিন গত ১৪ এপ্রিল সাগরে নামলে নয়জন ভেসে যান।
এর মধ্যে পাঁচজনকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মধ্যে দুজন মনফেজুল ইসলাম ইভান ও সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু হয়।
সাগরে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মৃত্যুর পর সেন্ট মার্টিন সৈকতে নামার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।