শনিবার রাতে উপজেলার মহিষবাথান এলাকায় টেলিফোন একচেঞ্জে ক্যাবল চুরির এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর জেলা টেলিফোন ভবনে কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, বনের পাশে অরক্ষিত পরিবেশে চলছে ওই অফিসটি, যার কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। যেকোনো সময় যেকোনো লোক অনায়াসেই ওই কার্যালয়ে ঢুকতে পারে। অফিসটি খুবই অরক্ষিত।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে ওই এক্সচেঞ্জের লাইনম্যান মো. রফিক রাতে নিজের কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন। সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন দরজা বাইরে থেকে আটকানো। পরে তার ডাকাডাকিতে অফিসের আসা লোকজন গিয়ে দরজা খুলে দেয়।
এরপর তারা দেখতে পান ওই একচেঞ্জের প্রায় ১০০ মিটার পাওয়ার ক্যাবল কে বা করা চুরি করে নিয়ে গেছে। এতে ছয় শতাধিক টেলিফোন লাইন অকেজো হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন জানিয়ে বলেন, ওই ক্যাবলের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ওইসব টেলিফোন চালু করা যাচ্ছে না।
অপরদিকে গত প্রায় ১৫দিন থেকে গাজীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জর ৯২৫ নম্বরযুক্ত টেলিফোনগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে ওই সংখ্যা দিয়ে শুরু প্রায় এক হাজারের মতো নম্বর থেকে ফোন করতে পারছেন না সদর উপজেলার গ্রাহকরা।
গাজীপুর টেলিফোন অফিসের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার এএসএম আব্দুল হালিম খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নম্বরগুলো শিফট করে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে এটা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কবে এটা ঠিক করা সম্ভব হবে তার দিন-ক্ষণ বলা যাচ্ছে না।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শাহীন আলম বলেন, তাদের নম্বর (৯২৫২৬২৮) থেকে ফোন করতে না পারায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো নিশ্চিত হতে সমস্যায় পড়ছেন তারা।