ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে ছিনিয়ে নেয়া তিন জঙ্গির প্রত্যেকের জন্য ২ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ বিভাগ।
Published : 23 Feb 2014, 02:37 PM
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) এস এম মাহাফুজুল হক নুরুজ্জামান, ডিআইজি প্রিজন (সদর দপ্তর) টিপু সুলতান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব খায়রুল কবির মেনন এই কমিটিতে সদস্য হিসাবে আছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইফতেখারুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোবাবর সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংয়ের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে ও গুলি করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮), রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ (৩৫) ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকে (৩৫) ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এ সময় প্রিজন ভ্যানে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আতিকুল ইসলাম (৩০) নিহত হন, আহত হন আরো দুইজন পুলিশ সদস্য।
একটি মামলায় হাজিরার জন্য জেএমবির ওই তিন সদস্যকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে হামলাকারীদের বহনকারী গাড়ির চালক সন্দেহে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ত্রিশালের ঘটনার পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহাফুজুল হক নুরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিনতাই হওয়া ওই তিন জেএমবি সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পারলে প্রত্যেকের জন্য ২ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ত্রিশালের ঘটনার পর ময়মনসিংহ ও আশেপাশের সব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থারসদস্যরা মাঠে রয়েছেন।
“আমরা টাঙ্গাইল থেকে জাকারিয়া ওরফে মিলন নামে একজনকে ইতোমধ্যে আটক করেছি। সে চার বছর আগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায়। তার বিরুদ্ধে জেএমবি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সকালের ঘটনায় সে জড়িত ছিল বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি।”
ছিনিয়ে নেয়া তিন আসামিকে শিগগিরই আবার আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ত্রিশালের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “কারো গাফিলতি আছে কিনা এটা পরে দেখেছি, আপাতত আসামি ধরাই মুখ্য।”
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে জেএমবির সাজাপ্রাপ্ত শতাধিক নেতাকর্মী রয়েছেন। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারাগারের অভ্যন্তর ও আশপাশের এলাকায় রেড এলার্ট জারি করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”