দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 07 Jan 2014, 12:03 PM
মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তিনি ফিরে যান বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক শহীদুল ইসলাম জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দশম সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন।
“সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন এবং বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।”
ইহসানুল করিম বলেন, জনগণের জান-মাল এবং সম্পদ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর এবং সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধী দলের বর্জন আর সারা দেশে সহিংসতার মধ্যে রোববার ১৪৭টি আসনে যে ভোট হয়েছে, তাতে ১০৪টিতে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জনকে নিয়ে দলটির মোট আসন দাঁড়াচ্ছে ২৩১টিতে, যা সরকার গঠনের ন্যূনতম আসনের চেয়ে ৮১টি বেশি।
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করতে চললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সমঝোতা হলে’ আগাম নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয়ায় এই সংসদের মেয়াদপূর্তি নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।
চলতি নবম জাতীয় সংসদ কবে ভাঙ্গবে বা নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে- এ প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব বলেন, “সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পর।”
সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ তথা সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন হাসিনা।
গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,“আমি বিরোধী দলের সম্মানিত নেত্রীসহ সকলকে আবার আহ্বান জানাই, সন্ত্রাস ও সহিংসতা পরিহার করে যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদী জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় আসুন।”
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হতে চলা শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা করেই সমাধান করা হবে। সেজন্য সকলকে ধৈর্য্য ধরতে হবে।
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুই কূলই হারিয়েছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।