অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি (ইপিপি) গ্রুপের সদস্যরা।
Published : 06 Dec 2013, 08:06 PM
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ: অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের পথে’ শিরোনামে শুনানিতে এ আহ্বান জানান ইপিপির ভাইস চেয়ারম্যান মেইরিড ম্যাকগীনিস ও এমপি লাইমা আন্দ্রিকিয়েনে।
শুনানিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ মারাত্মক সংকটে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।
শুনানিতে বলা হয়, বিগত সময়ে বাংলাদেশে ইউরোপিয়ানরা ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। তাই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ রয়েছে।
লাইমা বলেন, “বাংলাদেশ আবারো খাদের কিনারে পৌঁছেছে। সামনে দুটি পথ আছে- একটি সংলাপ এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, অন্যটি সংঘর্ষ, যা দেশকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।”
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এই লিথুনিয়ান বলেন, “বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের পরিবেশ তৈরির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অন্যদিকে বিরোধীদল বা জোটকেও প্রতিবাদের নামে সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে- যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
ইপিপির ভাইস চেয়ারম্যান মেইরিড ম্যাকগীনিস বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে নিরাপদ করার স্বার্থে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।
“রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা সব সময়ই উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বাধা। আর সে কারণেই জানুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইপিপি সর্বাত্মক সহায়তা করবে।”
এই দুজন ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিবাচন পর্যবেক্ষক মাইকেল গ্যাহলার, দক্ষিণ এশিয়া গণতান্ত্রিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাউলো ক্যাসাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মশিউর রহমান, আব্দুল মতিন খসরু, সাবের হোসেন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আলোচনা করেন।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা মোহিদুর রহমান, ড. আসাদুজ্জামান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহবায়ক এম এ মালেক শুনানিতে বক্তব্য রাখেন।
শুনানি শেষে মিলনায়তনের বাইরে বিএনপির একদল কর্মী বিক্ষোভ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এবং সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।