ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি উড়োজাহাজের আসনের নিচ থেকে ৩২০টি সোনার বার উদ্ধার করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
Published : 12 Nov 2013, 08:35 AM
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মাধব বিশ্বাস দেব রায় জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে ‘কাতার এয়ারওয়েজের’ একটি বিমানে সোনার বারগুলো পাওয়া যায়।
“৪১ এ ও ডি সিটের নিচে কালো কাপড় ও টেপ দিয়ে সোনাগুলো মোড়ানো ছিল।”
এপিবিএনের সিনিয়র এএসপি আলমগীর হোসেন জানান, “দোহা থেকে আসা ওই বিমানের একজন শ্রীলঙ্কান ক্রু টেপ দিয়ে মোড়ানো পোটলাটি দেখে বোমা বলে সন্দেহ করেন এবং কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।”
মাধব বিশ্বাস জানান, উদ্ধার করা সোনার ওজন আনুমানিক ৩৭ কেজি, বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
সম্প্রতি ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বেশ কয়েকটি ‘সোনার চালান’ আটক করা হয়েছে। কখনো বিমানের টয়লেটে, কখনো যাত্রীর ব্যাগে, আবার কখনো যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় সোনার বার বা গয়না।
গত ২ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যাবধানে মোট ৪১টি সোনার বার আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
২২ অক্টোবর দুবাই থেকে ঢাকায় আসা একটি বিমানের টয়লেটে ২৮০টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার ওজন প্রায় ৩০ কেজি।
১ অক্টোবর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে দোহা থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১৪টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এর ঠিক এক মাস আগে ১ সেপ্টেম্বর একই বিমানবন্দরে চারটি সোনার বার ও ৪১০ গ্রাম ওজনের ৬৯টি চেইনসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত অগাস্টে শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি স্পোর্টস ব্যাগের ভেতরে থেকে ১৮ কেজি ওজনের ১৫৬টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এর আগে ২০ অগাস্ট কলকাতাগামী এক ভারতীয় নাগরিকের কাছে সাড়ে সাত কেজি সোনা, আই ফোন ও বিপুল পরিমাণ মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়।
২৪ জুলাই নেপাল থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে ১২৪ কেজি সোনার বার পাওয়া যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে। তার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছে পাওয়া যায় প্রায় ১৭ কেজি ওজনের ১৪৬টি সোনার বার।
আর গত ৬ জুলাই ঢাকায় কুয়েত থেকে আসা একটি বিমানে প্রায় ২৫ কেজি সোনার বার পাওয়া যায়।