বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড নেতা তোরাব আলীও রয়েছেন।
Published : 05 Nov 2013, 01:30 PM
ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
৮৪৬ জন জীবিত আসামির সাজা ঘোষণার এক পর্যায়ে বিচারক পিন্টু ও তোরাব আলীকে আলাদাভাবে ডেকে সামনে নিয়ে আসেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি তাদের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন তিনি।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন।
ওই হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে পিন্টু ও তোরাব আলীকে ৩০২ ধারায় এই সাজা দেন বিচারক।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা পিন্টু বলেন, “সাক্ষী ছাড়া আমাকে দণ্ড দেয়া হয়েছে। নির্দোষ একটি মানুষকে এই দণ্ড দেয়া হলো।”
পরে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় পিন্টু গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন।
এ মামলায় পিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদ্রোহের আগের দিন তিনি এ বিষয়ে ‘একটি ষড়যন্ত্রমূলক’ সভায় অংশ নেন। বিদ্রোহ চলাকালে হত্যাযজ্ঞ ও লাশ গুমে সহায়তা করেন। অপরাধ সংগঠনের পর তিনি বিদ্রোহীদের পালাতেও সহায়তা করেন। বিদ্রোহীদের সমর্থনে করা মিছিলে উপস্থিত থেকে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন।
আর তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারেন। কিন্তু তিনি তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।