অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়ে সারা হোসেন।
Published : 02 Oct 2013, 10:06 PM
সিডনির এপিং ওয়েস্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্রী সারা হোসেনই প্রথম বাংলাভাষী যে বাংলা ভাষায় ব্যুৎপত্তির জন্য সম্মানজনক এ পুরস্কার লাভ করল।
অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিদের বাসস্থান গড়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর হলেও কারো মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এটাই প্রথম।
ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার।
গত সাত বছর ধরে সারা ‘বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া’র বাংলা স্কুলে বাংলা লিখতে পড়তে ও বলতে শিখেছে।
এছাড়া এবার বাংলায় অপর তিন বাঙালি ‘কমেন্ডেবল’ ও ‘হাইলি কমেন্ডেবল’ পুরস্কার পেয়েছে। এরাও বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার ভিন্ন ভিন্ন স্কুল শাখার ছাত্র-ছাত্রী।
এরা হল বাংলা একাডেমির ব্ল্যাকটাউন শাখার ছাত্রী ‘বলকাম হিলস্ হাই স্কুল’র শতাব্দী রাশেদ এবং লাকেম্বা শাখার ছাত্র ‘ওয়াইলী পাক পাবলিক স্কুল’র এ এস এম শাহরিয়ার ইফতি। তারা দুজনই পেয়েছে কমেন্ডেবল অ্যাওয়ার্ড।
অপরদিকে হাইলি কমেন্ডেবল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে একাডেমির এপিং শাখার ছাত্রী ‘হরন্সবি গার্লস হাই স্কুল’র ছাত্রী আশা হোসেন।
ভাষা শিক্ষায় সার্বিকভাবে এগিয়ে আছে এমন দশজনকে প্রতিবছর ‘মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী এ পুরস্কার প্রদান করেন।
এ বছর ৬০টি সম্প্রদায়ের ভাষার মধ্যে ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রথম দশজনের মধ্যে ঠাঁই পায় সারা।
বাংলা ভাষা ছাড়াও অন্য যে নয়টি ভাষা ২০১৩ সালের জন্য ‘মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে সেগুলো হল: আর্মেনিয়ান, সিংহলি, তামিল, পর্তুগিজ, চিনা, জাপানি, কোরিয়ান, উক্রাইনিয়ান ও পোলিশ।
বাংলা ভাষার বিস্তারে অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে সবচেয়ে বেশি বাঙালির বসবাস। এছাড়া মেলবোর্ন, ক্যানবেরা, ব্রিসবেন, পাথ, এডিলেড, তাসমানিয়া ও ডারউইনেও বাঙালির বসবাস রয়েছে।
বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে ছেলেমেয়েদের বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে ও বলতে পারায় আগ্রহী করে তোলা।