মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরিফ রায়হান দীপের বাবা মোহাম্মদ আলী আজম এবং মামা মোহাম্মদ নূরে আলম তাকে নিয়ে নাজিরপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান।
এশার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
দ্বীপের মামা মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, দীপের মৃত্যুর খবরের পর তার মা স্বপ্না বেগম শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। তিনি কারো সঙ্গে কথা বলছেন না।
দীপ মেধাবী, বিনয়ী ও ভদ্র ছিল। তার এ মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নূরে আলম।
সোমবার রাত সাড়ে তিনটার সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র দীপ ৮৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
গত ৯ এপ্রিল সকালে নজরুল ইসলাম হলের ছাত্র দীপকে হলে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে মাথায় ও পিঠে গুরুতর জখম হন তিনি।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ১৭ এপ্রিল মেজবাহউদ্দীন নামে বুয়েটেরই আরেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মেজবাহ বুয়েটের স্থাপত্য প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
মেজবাহ হেফাজত সমর্থক বলেও পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
সকালে দীপের লাশ বুয়েট ক্যাম্পাসে নেয়া হয়। বেলা ১০টার দিকে এম এ রশিদ ভবনের সামনে তার প্রথম জানাযা হয়।
জানাযায় বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দীপের বাবাও উপস্থিত ছিলেন।