গণজাগরণ মঞ্চের সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি হলেও সমাবেশ করার বিষয়ে অটল অবস্থানের কথা জানিয়েছে গণজাগরন মঞ্চ।
Published : 12 Mar 2013, 10:01 AM
গণজাগরন মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ব্লগার্স অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের মারুফ রসুল বলেন, “আমরা যেহেতু ঘোষণা দিয়েছি, আমরা সমাবেশ করবো। সমাবেশ না করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।”
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ১৩ মার্চ চট্টগ্রামে সমাবেশের ঘোষণা দেয়ার পর চট্টগ্রামে হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম। পাশাপাশি একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণাও দেয় তারা।
সোমবার রাতে সিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এক আদেশে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর, পুরাতন রেল স্টেশন ও লালদীঘির মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বুধবার ১৪৪ ধারা জারি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মারুফ রসুল বলেন, “ঢাকা থেকে বসে আসলে ওখানকার পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। আমরা আগে চট্রগ্রাম যাবো, গিয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবো।”
তিনি জানান, “চট্রগ্রামে সমাবেশ করার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে আমরাও চাই না কোন সহিংসতা হোক। প্রথম থেকেই আমাদের আন্দোলন অহিংস ছিলো এবং ভবিষ্যতেও অহিংস থাকবে।”
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগের বাহিরে সাতটি সমাবেশ করেছে গণজাগরন মঞ্চ।
বন্দরনগরীতে ১৩ মার্চের সমাবেশ হলে সেটি হবে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম সমাবেশ।
চট্রগ্রামের পরে আগামী ১৫ মার্চ ঢাকার আশুলিয়ায় আরেকটি সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে গণজাগরন মঞ্চের।
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থেকে শুরু হয় গণজাগরণ আন্দোলন।
এই আন্দোলনের মুখে যুদ্ধাপরাধের যে কোনো রায়ের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আপিলের সমান সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করেছে সরকার।
জামায়াত নিষিদ্ধসহ আরো পাঁচটি দাবি রয়েছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের।