Published : 23 Feb 2013, 03:58 PM
শনিবার বিকালে রাঙামাটির শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ অয়োজিত এক জনসভায় ভাষণদানকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ধর্ম নিয়ে খেলা করার অধিকার কারো নেই।যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় এ ধরনের খেলা জনগণ মেনে নেবে না।”
তিনি দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে- যাতে কেউ আগুন নিয়ে খেলা করতে না পারে।
শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “সরকার ধর্ম নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য বা কোনো পত্রিকা বা মিডিয়ায় এ ধরনের প্রচারণা ও প্রকাশনা চালানো সহ্য করবে না। যারা এ ধরনের মন্তব্য করেন এবং যারা পত্রিকায় এ ধরনের মন্তব্য প্রকাশ করেন তারা সমান অপরাধ করেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সব ধর্মের মানুষ পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে পারে।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত থাকবে এবং সকল রায় কার্যকর করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্র ‘অপতৎপরতায়’ লিপ্ত রয়েছে।কিন্তু তারা কোন কিছুতেই এই বিচার বানচাল করতে পারবে না।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এ জনসভায় পরারাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহামুদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়াম্যান বীর বাহাদুর ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় এ অঞ্চল ছিল রাজনৈতিকভাবে গোলযোগপূর্ণ।আমরা শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করেছি।
তিনি আরো বলেন, “এ অঞ্চলের জনগণের জন্য সরকারের সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিয়ে আমরা এ শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই।”
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়কে মিলেমিশে থেকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়াম, বরকল থানা ও পর্যটন মোটেলসহ প্রত্যেক স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি করে আবক্ষ মূর্তি উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে রাঙ্গামাটি পৌঁছলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।