বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে আনা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সংশোধনীকে অকার্যকর ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
Published : 28 Jan 2013, 05:37 AM
এ সংক্রান্ত দুটি আবেদনের শুনানি করে সোমবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই আদেশ দেয়।
“এই আদেশের ফলে সংশোধিত সংবিধানই আপাতত কার্যকর থাকবে। রায়ের লিখিত অনুলিপি পেলে আমরা লিভ টু আপিল করব। সেক্ষেত্রে ওইদিন আপিল বিভাগে শুনানি হতে পারে”, বলেন এই আইনজীবী।
হাই কোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দুটি আবেদন জমা দেয়া হয়।
আদালতে ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিসিবির পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস শুনানি করেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, “আদালতে আমরা বলেছি, সংশোধিত সংবিধানটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলেও পাঠানো হয়েছে। তাই এই সংবিধানটি পরিবর্তিত হয়ে গেলে সব কিছু ভেঙে পড়বে। এই যুক্তি দেখানোর পর আদালত আদেশ দিয়েছে।”
তবে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক রোববার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিসিবির সংবিধানে আনা ক্রীড়া পরিষদের সংশোধনীর ফলে নির্বাচন প্রক্রিয় বদলে গেছে। এতে সংস্থাটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“আগের বিধান অনুসারে জেলা পর্যায়ের অভিজ্ঞরাই বিসিবির নির্বাচনে কাউন্সিলর হতেন। পরিবর্তিত বিধানে কাউন্সিলর মনোনয়নের ক্ষমতা ডিসিকে দেয়া হয়।”
গত বছর নভেম্বরে বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে বোর্ডকে একটি চিঠি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
ওই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাই কোর্টে আবেদন করেন বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী।
১৩ ডিসেম্বর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে বিসিবিকে দেয়া এনএসসির চিঠি তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ঐ চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আব্দুর রবের বেঞ্চ ওই সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এক মতবিনিময় সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনকে ‘অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক ও ক্রিকেট স্বার্থের পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।