শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শামীম আহসান গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় প্রেসিডেন্টের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট রৌসেফের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের দপ্তরে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও ডি আগুয়ার পাত্রিয়োতা এবং প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মারকো অরেলিয়ো গার্সিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় এক দশক পর ২০১০ সালে ঢাকায় ব্রাজিলের দূতাবাস পুনরায় চালু হওয়ার পর সম্প্রতি দেশটিতে কূটনৈতিক মিশন চালু করে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৭০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাজিলে দূতাবাসা চালু করা হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
স্বল্পন্নোত দেশ হিসেবে কম শুল্কে তৈরি পোশাক রপ্তানির পাশাপাশি ব্রাজিলের কফি শিল্পের জন্য সেখানে পাটজাত পণ্য রপ্তানিরও আশা করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষি গবেষণা, বীজ উৎপাদন ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতামূলক সম্পর্কও চালু করতে চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা শামীম আহসান এর আগে ব্রুনেই দারুসসালামে বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার আগে ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন শামীম আহসান।