ঢাকা, মে ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শুষ্ক মৌসুমে বছরের ১০০ দিনই ঢাকা শহরের বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ গ্রহণযোগ্য মাত্রার বেশি থাকে বলে সংসদে জানানো হয়েছে।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান মনিটরিং স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু শুষ্ক মওসুমের ১০০ দিন বাতাসে ধুলিকনার পরিমাণ গ্রহণযোগ্য মাত্রার বেশি থাকে। এ সময় ঢাকার বাতাসে ধুলিদূষণের গড় পরিমাণ ২০০ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার। তবে বর্ষা মওসুমে এর পরিমাণ থাকে ৬৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ অনুযায়ী ধুলিদূষণের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৫০ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণ কাজ, উন্মুক্ত রাস্তা খোঁড়া, যানবাহন এবং আশপাশের ইটভাটা ঢাকায় ধুলিদূষণের প্রধান কারণ।
ঢাকাসহ অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় মন্ত্রণালয় ৪৮৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনবেল এনভায়রনমেন্ট’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইটভাটায় সবাইকে আধুনিক পদ্ধতির চিমনি ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান পদ্ধতির ইটভাটা চালু রাখা যাবে না।
মোল্যা জালাল উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্দরবনকে রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে ইউএসএইড পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরী, পশুর ও গেওয়াসহ অন্যান্য গাছের মজুদ অতীতের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/এমআই/২২৩০ ঘ.